ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করুন লক্ষ টাকা | অনলাইন ইনকাম

অনলাইন ইনকাম  ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করুন লক্ষ টাকা

ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করুন লক্ষ টাকা | অনলাইন ইনকাম

ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করুন লক্ষ টাকা

অনলাইন ইনকাম, ফ্রিল্যান্সিং অনলাইনে অর্থ উপার্জনের সবচেয়ে জনপ্রিয় উপায়। এই খাতটি ভারতের বেকারত্ব কমাতে বড় ভূমিকা রাখছে এবং একই সাথে অনেক দক্ষ লোক এই সেক্টরে কাজ করে আমাদের দেশের প্রতিনিধিত্ব করছে।ভারতকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরা। আসলে পৃথিবীর অনেক বড় দেশের মানুষ জানতো না যে বিশ্ব মানচিত্রে ভারত নামে একটি দেশ আছে। আমাদের দেশের ফ্রিল্যান্সাররা ভারতকে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন সেই মানুষগুলোর সাথে।

এর পাশাপাশি তারা প্রতি মাসে লাখ লাখ ডলার বাংলাদেশে পাঠাচ্ছে। তাই এই ফ্রিল্যান্সিংয়ে যোগ দিয়ে আপনি অর্থ উপার্জন ছাড়াও এই গৌরব ভাগ করতে পারেন।এখন দেখা যাক কিভাবে এই কাজটি শুরু করা যায়। ফ্রিল্যান্সিং হল মূলত বিভিন্ন ধরনের কাজ করা যা আপনি একটি নির্দিষ্ট পারিশ্রমিকে ভালো করতে পারেন।আপনার কাজ এবং আপনার নিয়োগকর্তার জন্য কোন বিশেষ স্থান নেই। আপনি বাড়িতে থেকে কাজ করতে পারেন এবং আপনার ক্লায়েন্ট বিভিন্ন দেশ থেকে হবে. সময়ের সাথে পাল্টে যাবে।

যাইহোক, প্রথমে আপনার এখানে একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে দক্ষতা প্রয়োজন। এগুলো হতে পারে গ্রাফিক্স ডিজাইন, ফটো এডিটিং, ওয়েব ডিজাইন, ওয়েবসাইট মেকিং, কপিরাইটিং, কন্টেন্ট রাইটিং, লোগো ডিজাইন (লোগো ডিজাইন) ইত্যাদি।এই কাজগুলোর যেকোনো একটি আয়ত্ত করতে পারলেই আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন। আপনি যদি মাল্টিটাস্ক করতে পারেন, তাহলে আপনার আয়ের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।কাজ শেখার পর, আপনাকে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং সাইটে (যেমন ফ্রিল্যান্সার, আপওয়ার্ক, ফাইভার ইত্যাদি) আপনার তথ্য দিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। এর পরে, আপনাকে ব্যাখ্যা করতে হবে যে আপনি সেই সাইটে কী ভাল।

তবে একটা কথা মনে রাখতে হবে। আজকাল অনেক অনলাইন আয়ের সাইট রয়েছে। কিন্তু অনেক ভালো মানের সাইট নেই।তাই যেকোন ওয়েবসাইটে কাজ শুরু করার আগে অবশ্যই সাইটটি ভালো করে দেখে নিন। আপনি যদি সবকিছু পছন্দ করেন তবে আপনি সেই সাইটে কাজ শুরু করুন।তারপরে, আপনি যে কাজটি করতে পারেন তা প্রমাণ করার জন্য আপনার যদি পূর্বের কোন কাজ থাকে, তবে আপনাকে পোর্টফোলিও হিসাবে ওয়েবসাইটে রাখতে হবে। এইভাবে আপনার ক্লায়েন্ট আসবে এবং আপনার পোর্টফোলিও দেখবে এবং যদি তারা এটি পছন্দ করে তবে আপনাকে নিয়োগ দেবে।

এই ক্ষেত্রে, আমাদের পরামর্শ অবশ্যই একটি ভাল পোর্টফোলিও তৈরি করা হবে কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেই পোর্টফোলিওগুলি আপনাকে নতুন হিসাবে চাকরি পেতে সাহায্য করবে।প্রথমে আপনার কাজটি সম্পূর্ণ করা কঠিন হতে পারে। সেক্ষেত্রে, আপনার পরিচিত কেউ যদি একজন ফ্রিল্যান্সার হয়, আপনি তাকে রেফার করতে পারেন।এই রেফারেন্সের মাধ্যমে কাজ পাওয়ার পরে যখন আপনার প্রথম ক্লায়েন্ট আপনাকে একটি ভাল পর্যালোচনা দেয়, আপনি দেখতে পাবেন কাজটি আসতে থাকবে।আপনিও এগিয়ে যেতে পারেন এবং বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারেন। আপনি সেখান থেকেও গ্রাহক পেতে পারেন। আমাদের মতে, ফ্রিল্যান্সিং এ প্রথম কাজ পাওয়া একটু কঠিন।

ফ্রিল্যান্সিং করে কত টাকা আয় করা যায়

দিনদিন ফ্রিল্যান্সার এর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ফাইভার এর তথ্যমতে ২০২০ সালে একজন ফ্রিল্যান্সার ঘন্টায় গড়ে ২০ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারতেন। তবে ফ্রিল্যান্সিং করে আয়ের পরিমাণ মূলত নির্ভর করে কাজের ধরনের উপর।

একজন দক্ষ ফ্রিল্যান্সার মাসে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন। তবে শুনতে খারাপ লাগলেও ফ্রিল্যান্সিং করে শুরুর দিকে আয়ের পরিমাণ তেমন একটা বেশি থাকে না, যার ফলে স্বাভাবিক রেটের চেয়ে কম দামে কাজ করতে বাধ্য হন ফ্রিল্যান্সারগণ।

ফ্রিল্যান্সিং করতে স্কিলের প্রয়োজন আছে কি

কোনো দক্ষতা ছাড়া যেমন চাকরি পাওয়া সম্ভব নয়, ঠিক একইভাবে দক্ষতা ছাড়া কোনো ফ্রিল্যান্সিং কাজ পাওয়া সম্ভব নয়। কোনো দক্ষতা ছাড়া আয়ের কথা অনেকে বলে থাকেন বা অনেক বিজ্ঞাপনে দেখা যায়।

বাস্তবতা হলো ফ্রিল্যান্সিং করতে অবশ্যই স্কিল বা দক্ষতার প্রয়োজন হবে। কেউ যদি বলে দক্ষতা ছাড়াও ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করা সম্ভব, তাহলে এই তথ্য সম্পূর্ণ ভুল। নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে যে ভুলগুলো এড়িয়ে চলা দরকার।

ফ্রিল্যান্সিং এর সুবিধা কি

একজন ফ্রিল্যান্সার কি ধরনের কাজ করতে চান ও কার সাথে কাজ করতে চান তা নির্বাচন করার ক্ষমতা রাখেন। অর্থাৎ কাজের স্বাধীনতা সম্পূর্ণ একজন ফ্রিল্যান্সারের হাতে থাকে। আবার ফ্রিল্যান্সিং কাজের কোনো বাধা ধরা সময় নেই। ক্লায়েন্টের কাজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পূর্ণ করাই একজন ফ্রিল্যান্সার এর কাজ, এতে রুটিন মাফিক কাজ করার কোনো প্রয়োজন পড়েনা।

এছাড়াও জব এর পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব। আবার চাইলে চাকরি ছেড়ে দিয়েও ফুল টাইম ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়ে তোলা সম্ভব। কোনো প্রতিষ্ঠানের চাকরি করলে উক্ত প্রতিষ্ঠানের জন্য করা কোনো ব্যক্তির কাজ প্রতিষ্ঠানের সফলতা হিসেবে বিবেচিত হয়। অন্যদিকে ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে একজন ফ্রিল্যান্সার নিজের করা কাজসমূহে পোর্টফোলিও আকারে সাজাতে পারেন ও দক্ষতা প্রদর্শন করতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সার হওয়ার অসুবিধাসমূহ কি

কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলে বিভিন্ন বোনাস বা প্রয়োজনে ছুটি নেওয়া যেতে পারে। তবে ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে এই ধরনের সুযোগ অনিশ্চিত। আবার ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে একজন ফ্রিল্যান্সার ই যেহেতু নিজেই নিজের বস ও কর্মী, সেক্ষেত্রে ক্লায়েন্টের সকল কাজ নিজেরই করা লাগে।

আবার ফ্রিল্যান্সিং করে আয়ের কোনো নির্দিষ্ট নিশ্চয়তা নেই। কোনো মাসে প্রচুর কাজ পাওয়ার কারণে লক্ষ টাকা আয় করলেও অন্য মাসে কাজ না পাওয়ায় কোনো আয়ই না থাকতে পারে একজন ফ্রিল্যান্সার এর।

ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং কি একই

না, ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং একই বিষয় নয়। তবে এই দুইটি বিষয় মূলত একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। কোনো ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠান তার প্রয়োজনে আউটসোর্সিং করেন ও একজন ফ্রিল্যান্সার উক্ত ব্যক্তির কাজ গ্রহণ করেন। ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং এর পার্থক্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে বাংলাটেক এর নিম্নোক্ত পোস্টটি ঘুরে আসুন।

সবচেয়ে বেশি আয়ের ফ্রিল্যান্সিং কাজ কি

মূলত কাজের উপর ফ্রিল্যান্সিং থেকে আয়ের পরিমাণ নির্ভর করে। তবে কিছু নির্দিষ্ট ফ্রিল্যান্সিং কাজ আছে যা কিছুটা জটিল ও এসব কাজ থেকেও আয়ের পরিমাণ অন্যান্য কাজসমূহ থেকে বেশি।

ফ্রিল্যান্সিং করে আয় সম্পর্কে সেরা প্রশ্নগুলো এবং উত্তর

ওয়েব ডিজাইন ও ডেভলপমেন্ট এর ক্ষেত্রে অন্যান্য সচরাচর ফ্রিল্যান্সিং জব থেকে অধিক আয় করা সম্ভব। প্রোগ্রামিং একটি জটিল প্রক্রিয়া ও ডিমান্ডিং স্কিল হওয়ায় প্রোগ্রামিং সম্পর্কিত ফ্রিল্যান্সিং কাজসমূহের জন্য অধিক হারে চার্জ করে থাকেন ফ্রিল্যান্সারগণ। এছাড়াও বিভিন্ন বিষয়ে ব্যক্তিগত কনসালটেন্ট হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং জব এর ব্যাপক ডিমান্ড রয়েছে বিধায় বিশাল অংকের আয়ের সুযোগ রয়েছে। 

বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা আনার উপায় কি

ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মসমূহে আয়ের অর্থ উক্ত প্ল্যাটফর্মের ভার্চুয়াল একাউন্টে জমা থাকে। অধিকাংশ ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম পেপাল এর মাধ্যমে উইথড্র সাপোর্ট করলেও বাংলাদেশে পেপাল না থাকায় বেশ ভোগান্তিতে পড়িতে হয় ফ্রিল্যান্সারদের।

তবে Payoneer ও Wise এর মত আন্তর্জাতিক পেমেন্ট ব্যবস্থা ব্যবহার করে বাংলাদেশ থেকে ফ্রিল্যান্সিং করে আয়ের অর্থ উইথড্র করা যায়। এছাড়াও ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে অর্জিত অর্থ উত্তোলনের সুযোগ রয়েছে কিছু কিছু ক্ষেত্রে। “কাজ খুঁজি” এর মত দেশী ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটসমূহে বিকাশ দ্বারা পেমেন্টের ও ব্যবস্থা রয়েছে।

ফ্রিল্যান্সিং করে ক্যারিয়ার তৈরি করা যাবে কি

অনেকে মনে করেন যে নির্ভরযোগ্য আয়ের ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিং কোনো আদর্শ সমাধান নয়। তবে এই ধারণা সঠিক নয়। ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে ক্যারিয়ার গড়ে তোলা সম্ভব। তবে ফ্রিল্যান্সিং করে ক্যারিয়ার তৈরী করতে প্রয়োজন হবে কঠিন অধ্যবসায় ও ধৈর্যের।

আর স্বাধীনভাবে নিজের দক্ষতার উপর ভিত্তি করে আয় যদি হয়ে থাকে আপনার লক্ষ্য, তবে ফ্রিল্যান্সিং করে ক্যারিয়ার গড়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিংকে ক্যারিয়ার হিসেবে তৈরি করতে হলেঃ

নির্দিষ্ট নিশ (niche) বা কাজের ক্ষেত্র বাছাই করুন
লিংকডইন, আপওয়ার্ক ও ফাইভার এর মত ওয়েবসাইটসমূহে নিজের পরিচিতি তৈরী করুন
কাজের পাশাপাশি নিজের সেরা কাজসমূহকে এক করে পোর্টফোলিও তৈরী করুন
দীর্ঘমেয়াদী ক্লায়েন্ট খুঁজে বের করুন যারা নির্ভরযোগ্য আয়ের মাধ্যম হবে। 

কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় শুরু করবো

ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে প্রথমত এই কাজে বদ্ধপরিকর হতে হবে। এছাড়াও আপনি ফুল টাইম নাকি পার্ট টাইম ফ্রিল্যান্সার হতে চান, তাও ঠিক করা জরুরি। এরপর আসে দক্ষতা অর্জনের পালা। ইতিমধ্যে আপনার নির্দিষ্ট ফ্রিল্যান্সিং স্কিল থাকলে তা কাজে লাগাতে পারেন। এছাড়াও যে বিষয়ে ফ্রিল্যান্সিং করবেন, তার দক্ষতা অর্জন করতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট সমূহ সম্পর্কে ধারণা অর্জন করে কাজ শুরু করুন।